ফ্রিজে খাবার কতক্ষণ সংরক্ষণ করা নিরাপদ?
ফ্রিজে খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ বজায় রাখা এবং খাবার নিরাপদ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার সংরক্ষণের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
১. পাকা ও রান্না করা খাবার
- সুপ ও স্টু: ৩-৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
- রোস্ট বা মাংসের টুকরো: ৩-৫ দিন সংরক্ষণ করা যায়।
- পাস্তা বা স্যালাড: ৩-৫ দিন ভালো থাকে।
- পিজা: ৩-৪ দিন পর্যন্ত নিরাপদ।
২. কাঁচা মাংস ও সামুদ্রিক খাবার
- মুরগি ও টার্কি: ১-২ দিনের মধ্যে রান্না করা উচিত।
- গরুর মাংস, খাসির মাংস, বা পর্ক চপস: ৩-৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
- কাঁচা মাছ ও শেলফিশ: ১-২ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।
৩. ডেইরি পণ্য
- পাস্তুরিত দুধ: সাধারণত ৫-৭ দিন ভালো থাকে। যদি খোলার পর কোনো গন্ধ বা স্বাদে পরিবর্তন দেখা যায়, তবে তা ফেলে দেওয়া উচিত।
- পনির: সফট চিজ (যেমন কটেজ চিজ, রিকোটা) ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে, আর হার্ড চিজ (যেমন চেডার, পারমেজান) ৩-৪ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়।
- মাখন: ফ্রিজে ১ মাস বা ফ্রিজারে ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
- পাতাযুক্ত সবজি: ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
- গাজর, ব্রকলি, এবং শিম: ১-২ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
- বেরি জাতীয় ফল (স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি): ৩-৭ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
- আপেল: ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
- ডিম: ৩-৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে নিরাপদে রাখা যায়।
- ডিমের সাদা অংশ বা কুসুম (আলাদা অবস্থায়): ২-৪ দিনের মধ্যে খাওয়া উচিত।
- পাকা ডিম: ১ সপ্তাহের মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত।
- ফ্রিজের তাপমাত্রা সর্বদা ৪°C (৪০°F) বা তার নিচে রাখা উচিত।
- খাবার সংরক্ষণ করার আগে অবশ্যই তা ভালোভাবে ঠাণ্ডা হতে দিন, তবে ২ ঘণ্টার বেশি ঘরের তাপমাত্রায় না রাখাই ভালো।
- প্যাকেজিং বা মোড়ক ব্যবহার করলে তা বায়ুরোধী ও ফ্রিজ-নিরাপদ হওয়া উচিত।
এভাবে সঠিক নির্দেশনা মেনে চললে, খাবার নিরাপদে সংরক্ষণ করা সম্ভব এবং খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন