রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

শিশুর মুখে চুষনি দেয়া যাবে কি?

শিশুর মুখে চুষনি দেয়া যাবে কি?

শিশুর মুখে চুষনি দেয়া যাবে কি?

শিশুর মুখে চুষনি (প্যাসিফায়ার) দেওয়া যায়, তবে এটি ব্যবহার করার সময় কিছু সতর্কতা এবং নিয়ম মেনে চলা উচিত। চুষনি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক রয়েছে। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো:

ইতিবাচক দিক:

১. শান্ত রাখা: চুষনি শিশুকে শান্ত করতে এবং আরাম দিতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষত যদি সে কাঁদছে।

২. ঘুমানোর সময় নিরাপত্তা: গবেষণায় দেখা গেছে, চুষনি সিডস (SIDS - Sudden Infant Death Syndrome) এর ঝুঁকি কমাতে পারে।

৩. স্বল্প সময়ের বিকল্প: যদি শিশুর স্তন্যপান করার অভ্যাস খুব বেশি হয় এবং মা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না, তবে চুষনি সাময়িক বিকল্প হতে পারে।

নেতিবাচক দিক:

১. স্তন্যপান করার সমস্যা: নবজাতকের ক্ষেত্রে চুষনি দ্রুত দিলে স্তন্যপানের পদ্ধতিতে সমস্যা হতে পারে।

২. দাঁতের গঠন: দীর্ঘমেয়াদে চুষনি ব্যবহার শিশুর দাঁতের গঠন পরিবর্তন করতে পারে।

৩. আসক্তি: শিশুটি চুষনির প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৪. সংক্রমণ ঝুঁকি: চুষনিকে পরিষ্কার না রাখলে এটি শিশুর মুখে ইনফেকশন বা অন্যান্য অসুখ সৃষ্টি করতে পারে।

সতর্কতা:

১. চুষনি অবশ্যই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

২. চুষনি ব্যবহারের সময় অবশ্যই পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

৩. ৬ মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে চুষনির ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করা উচিত।

৪. যদি শিশুর দাঁত ওঠা শুরু হয়, চুষনির ব্যবহার বন্ধ করা উত্তম।

অতএব, শিশুর মুখে চুষনি দেওয়া যেতে পারে, তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হবে এবং এটি যেন দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাসে পরিণত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সুস্থ জীবনযাত্রার ১০টি সহজ টিপস: আজ থেকেই শুরু করুন

সুস্থ জীবনযাত্রার ১০টি সহজ টিপস: আজ থেকেই শুরু করুন সৃষ্টিকর্তার সবচাইতে বড় নিয়ামতগুলোর মধ্যে একটি হলো সুস্থতা। আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই ...